নীরবতা

ছেলেটা রিলেশনশীপে জড়িয়ে যাওয়ার পর খুব বেশি পরিমানে অবহেলিত হতে থাকে। এরপর ছেলেটা যখন বুঝতে পারে মেয়েটা কখনোই তার ছিলো না ততদিনে অনেক দেরী হয়ে গেছে। অনেক স্বপ্ন গড়া হয়ে গেছে। অনেকটা পথ দুজনের পায়ের ছাপে ভরে গেছে। অনেকগুলো জোছনা একসাথে দেখা হয়ে গেছে। পাহাড় সমান ইগো আর কষ্ট নিয়ে ছেলেটা সিদ্ধান্ত নিয়ে নেয় আর ফিরে যাবে না। ফেরার চেষ্টা করবে না। তবুও বারবার আবেগের কাছে হেরে যায়। কষ্ট ইগো ভুলে গিয়ে বারবার ফিরে যেতে ইচ্ছে করে। মেয়েটা হয়তো আরেকবার বলবে, 'তোমাকে ছাড়া বাঁচা সম্ভব না।' কিন্তু না! সে মেয়েটা বলে না। সেই আবেগময় 'ভালোবাসি ভালোবাসি' বুলি আর আওগায় না মেয়েটা। এখন সে ইন্টারেস্ট পায় না। সাফ সাফ বলে দেয়। অথচ সে তো একদিন বলেছিলো, 'তোমাকে নিজের থেকেও বেশি ভালোবাসি।' খুব অভিমান হয়। কষ্ট হয়। বারাবার তাকে ফেরাতে ইচ্ছে হয়। দুদিন আগেও তো মেয়েটা তার জন্য সব কিছু করার জন্য প্রস্তুত ছিলো। আজ হঠাৎ কি হলো! অস্থিরতা বাড়ে। ওপাশে তখন নীরবতা। তারপর কোনো এক রাতে সেই চাপা অভিমানগুলো নেমে আসে আঙ্গুলের ডগায়। ভেজা চোখে খুব কষ্ট নিয়ে ছেলেটা লেখে, 'আর বিরক্ত করবো না তোমাকে, ভালো থেকো।' ছেলেটার কথা সত্য হয়। মেয়েটা ভালো থাকে। আবার অন্য কাউকে খুঁজে নেয়। নতুনভাবে তাকে স্বপ্ন দেখানো শুরু করে। কিন্তু ছেলেটা ভালো থাকতে পারে না। তার সাথে জড়িয়ে থাকা স্মৃতিগুলো নিয়ে বসে পড়ে মাঝরাতে। ফোনে হালকা সাউন্ডে পুরনো সেই গানগুলো চলে। গানটা শুনে বারবার মেয়েটার কাছে ফিরে যেতে ইচ্ছে করে। কিন্তু পারে না। এই যান্ত্রিকতার শহরে একটা ছেলের স্বপ্ন ভাঙ্গার গল্প হারিয়ে যায়। হারিয়ে যায় রাত জেগে গল্প করার মাঝে কোনো একসময় ছেলেটা কেঁদেছিলো। হারিয়ে যায় মেয়েটা একদিন অনেক আশ্বাস দিয়ে বলেছিলো, 'তোমাকে ছেড়ে কোনো দিন যাবো না।' সবকিছুই হারিয়ে যায়। শুধু পড়ে থাকে কাউকে তীব্র ভালোবেসে ক্ষত হয়ে যাওয়া একটা হৃদয়...